চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার ছেংগারচর পৌরসভার নয়াকান্দি শিকিরচর গ্রামের মৃত. সাহেব আলী বেপারীর ছেলে ট্রলিচালক ওয়াসিম (৩২) কে মাথায় আঘাত করে হত্যা।
তার চাচাতো ভাই মিজানুর রহমান বেপারী ওরফে বালু মিজান মুঠোফোনে ডেকে নেয় কথা বলার জন্য। এরপর আর ওয়াসিম ঘরে ফিরেনি। মঙ্গলবার সকালে বালু মিজানের ভাই আজাদ ওয়াসিম ডাকতে আসে। তারপর থেকে নিখোঁজ ওয়াসিমের খোজ শুরু হয়। আশপাশে খোজ করে মিজানের ঘরের পাশে ওয়াপদা লেকের পানিতে লাশ দেখতে পেয়ে স্বজন ও প্রতিবেশীরা উদ্ধার করে দেখে শনাক্ত করে এটা ওয়াসিমের লাশ।
মতলব উত্তর থানা পুলিশকে অবহিত করলে এসআই আফসার উদ্দিন সংগীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থল হাজির হয়। এরপরমতলব উত্তর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. নাসির উদ্দিন মৃধা, পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) শাহজাহান কামাল ঘটনাস্থলপরিদর্শন করে লাশের সুরত হাল তৈরি করে ময়না তদন্তের জন্য চাঁদপুর মর্গে প্রেরণ করে।
নিহতের স্ত্রী ইয়াছমিন আক্তার জানান, রাতে ওয়াসিম ঘরেই ছিল। রাত আনুমানিক ১২টার পর তার ফোনে কল আসে, সে(ওয়াসিম) ঘর থেকে বের হওয়ার সময় জানতে চাইলে বলে মিজান ভাই আমাকে ফোন দিছে, কথা শোনার জন্য। এর কিছুক্ষনপর ওয়াসিমের নম্বরে ফোন দিলে মোবাইল বন্ধ পাই। সারা রাতেও তিনি ঘরে ফিরেনি। সকালে আজাদ এসে ওয়াসিমের খোজকরে। তারপর মিজানের ঘরের সামনে রক্ত দেখে ওয়াসিম খোজতে নামি। মিজানের ঘরের পাশেই ওয়াপদা লেকে ওয়াসিমের লাশ খোজে পাই।
মতলব উত্তর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. নাসির উদ্দিন মৃধা বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে ওয়াসিমের লাশউদ্ধার করি। ওয়াসিমকে পরিকল্পিত ভাবে মাথায় আঘাত করে হত্যার পর ওয়াপদা লেকের পানিতে ফেলে রাখা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। লাশের ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। নিহতের স্ত্রী ইয়াছমিনকে বাদি করে হত্যা মামলার প্রক্রিয়া চলছে। ঘাতকদের আটকের জন্য চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
0 Comments