সংবাদ পেয়ে ফরিদগঞ্জ থানা পুলিশের পাশপাশি পিবিআই ও সিআইডির একটি দল ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে নিহতের আলামত সংগ্রহ করে। পরে নিহতের ভাই অমর কৃষ্ণ দাস বাদী হয়ে ফরিদগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। এই ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আজাদ নামে এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ।
স্থানীয় লোকজন জানায়, খাজুরিয়া গ্রামের ধোপা বাড়ির প্রয়াত ইন্দ্রজিৎ দাসের বিধবা স্ত্রী অঞ্জলী রানী দাসের ছোট বোন পূর্ণিমা ও বোনের জামাতা খোকন গতকার মঙ্গলবার দুপুরে লক্ষ্মীপুর থেকে নিহতের বাড়িতে বেড়াতে আসেন । এসময় তারা অঞ্জলী রানী দাসের ঘরের দরজায় তালা মারা দেখতে পান। অঞ্জলী দাস কোথায় গেছে এই বিষয়ে আশপাশের লোকজনের কাছে জানতে চাইলে তারা জানান, সোমবার দুপুরের পর থেকে অঞ্জলী দাসকে দেখতে পায়নি তারা। পরে ঘরের জানালায় দিয়ে উঁকি দিয়ে ঘরের মেঝেতে অঞ্জলীর রক্তাক্ত মৃতদেহ দেখতে পান। ধারনা করা হচ্ছে সোমবারে যেই কোন একসময় দূর্বৃত্তরা নৃশংস এ হত্যাকান্ডটি ঘটিয়েছে।
এরপর গভীর রাতে ফরিদগঞ্জ থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। আজ ২২ জুলাই (বুধবার) সকালে লাশটি ময়না তদন্তের জন্য চাঁদপুর মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।
0 Comments