আস্সালামু-আলাইকুম, আমার চাঁদপুর জেলার মতলব উত্তর থানা টি নিয়ে আমার খুব ভয় হয় বর্তমান বন্যা পরিস্থিতিকারনে। কখন জানি আমার এই মতলব উত্তর থানা টি সম্পূর্ণ মেঘনা নদীতে বিলীন হয়ে যায়। মেঘনা নদীতে ভেসে ওঠে আমারএই মাতৃভূমি চিহ্ন।মতলব উওর নামক এই দীপেই আমার জন্ম।
বর্তমান বছরের বন্যা আমার কাছে ৯৮ বন্যার চেয়েও ভয়ানক হবে বলে করা হচ্ছে। কারন এ বছর প্রচুর বৃষ্টিপাত হয়েছে। তাছাড়াতিস্তা এবং ফারাক্কা বাঁধ খুলে দেয়ায় ঔদিক দিয়ে প্রচুর পানি আসতেছে।
মতলবের সবচেয়ে বেশি ঝুকিপূর্ণ হচ্ছে মেঘনা-ধনাগোদা বেড়িবাধ,কারন বন্যায় যে পরিমানের পানি বেড়েছে মেঘনা ধনাগোদানদীতে তা অনুমান করাই যাচ্ছে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতি করছে মেঘনা নদী থেকে বালু উত্তোলন করে নদীর গভীরতা অত্যন্ত দ্বিগুণকরা হয়েছে। খুব ভয় হয় চারপাশের চরগুলো সব ভেঙ্গে গেছে মেঘনা-ধনাগোদা বেড়িবাধ অত্যন্ত দুর্বল। যেকোনো সময় বড়ধরনের দুর্ঘটনা হতে পারে।
বেড়িবাঁধ নষ্ট এর মূল কারন হচ্ছে মতলবের কিছু অসাধু বালু লোভী দানব, তারা প্রতিনিয়ত উত্তোলন করে থাকেন মেঘনা নদীথেকে বালি, ফলে মেঘনা নদীর গভীরতা দ্বিগুণ করে ফেলেছে। একলাশপুর, মোহনপুর, দশানী, বেরিবাদ এর বাইরের অংশেরগ্রাম টুকু সম্পূর্ণ বিলীন হয়ে গেছে আপনাদের কি মনে আছে?
সেই মানুষগুলো কথা যারা আজও নিঃস্ব তারা বেড়িবাঁধের ওপর বসবাস করে।তারা কতটা কষ্টে জীবন যাপন করছে এই বালুউত্তোলনের কারনে।আস্তে আস্তে বিলীন হয়ে যাচ্ছে ধনাগোদা বেড়িবাধের যৌবন শক্তি। মতলব উত্তরে সকল জনগণ এখনোসচেতন হওয়া। বালুখেকো হোতাদের বিরোধে আন্দোলন গড়ে তুলুন না হয়তো যেকোনো সময় মেঘনা ধনাগোদা বাঁধ ভেংগেমতলব উত্তর বিলীন হয়ে যাবে।
মতামত: মহিন আলম
0 Comments