প্রতিবছর গরুর হাটে গিয়ে কোরবানীর জন্যে গরু কিনেমতলবের খাইরুল। নিজের গরজে কোরবানীর হাটে গিয়ে ফ্লাটের অনেকের গরু ও কিনে দেন খাইরুল।গরু কিনতে খাইরুলের বিস্তর আগ্রহ। ঢাকায় তার নিজস্ব কসাইয়ের ঢোকান ও আছে।গরু কেনার কথা বললেই খাইরুল সব কাজ বাদ দিয়ে ছোটেন গরুর হাটে।কুরবানী আসলে এলাকার মানুষকে ঝড়-বৃষ্টি রোদ মাথায় নিয়ে খাঁইরুল নিজের গরুর পাশাপাশি কিনে দিতেন পাশাপাশি কিছু কমিশন নিতেন।গরুরপাশায় থাবর দিয়ে দিয়ে চেক করে গরু কিনতেন। কুরবনীর সময় অন্যের গরু কিনতে এলাকায় তাই একমাত্র ভরসার একমাত্র পাত্র ঐ খাইরুল।লকডাউনের কারনে কিন্তু এবার যেন কিছুই হচ্ছে না।
উল্টো বছরও কোরবানির ঈদের আগে একটু কান পাতলেই রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে হুররে, হাম্বা আর হাঁকডাকের আওয়াজকানে আসত। রাস্তাঘাটেও এর প্রভাব পড়ত। কিন্তু এবার করোনার কারণে ভিন্ন পরিবেশ। করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকিরকারণে দেশের অনেক জায়গায়ই আয়োজন করা হচ্ছে না পশুর হাটের। তাই বলে তো আর কোরবানি বন্ধ থাকতে পারে না।ফলে গরুর হাট হাজির হয়েছে ভার্চুয়াল দুনিয়ায়। আগেও অনলাইনে গরু বিকিকিনি ছিল, কিন্তু এবারের মতো এতটা নয়।শীর্ষস্থানীয় ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি অনেকেই ফেসবুকে পেজ খুলে গরু বিক্রি করছেন।
ব্যস্ততা ও ভোগান্তি এড়াতে নগরজীবনে কোরবানির পশু বেচাকেনার আয়োজনে এবার তুমুল ব্যস্ত ই-কমার্স সাইটগুলো। ঘরে বাঅফিসে বসেই গ্রাহকদের পছন্দের গরু বা ছাগল কেনাকাটার সুযোগ দিতে কোরবানির এই ভরমৌসুমে নতুন রূপে সেজেছেওয়েবসাইটগুলো। অনলাইনে খামারির কাছ থেকে কোরবানির পশু কিনতে এবং ক্রেতার কাছে বিক্রি করতেও বাহারি সব অফারনিয়ে এরই মধ্যে হাজির তারা। পাশাপাশি গরু-খাসি বিক্রির জন্য খোলা হয়েছে নতুন ফেসবুক পেজও।
এসব পেজ ও ওয়েবসাইটে বিভিন্ন দামের গরু, ছাগল, ভেড়ার ছবি, বিবরণ ও দাম দেওয়ার পাশাপাশি সেগুলো কোথাকার তা-ওউল্লেখ করা হয়েছে। ঈদুল আজহা উপলক্ষে ভার্চুয়াল এই পশুর হাটে গরু-ছাগলের ছবিসহ অনেক ক্ষেত্রে ভিডিও দেখারও সুযোগরয়েছে। জানা যাচ্ছে গরুর আকার, ওজন এবং সম্ভাব্য মাংসের পরিমাণও।
গরুর হাটে যাওয়া যাবে না তাই দেওয়া যাবে না গরুর পাছায় থাবড় এ কারনেই মন খারাপ করেছেন খাইরুল।
0 Comments