অনুকূল আবহাওয়া,পর্যাপ্ত বৃষ্টিপাত,রোগ-বালাই কম, সঠিক পরিচর্চার কারণে এবার দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে আশানুরুপ উৎপাদন হয়েছে পাটের ।এর মধ্যে বাম্পার ফলন হয়েছে চাঁদপুর জেলার মতলব দখিন উপজেলা ও ফরিদগঞ্জ উপজেলায়। আর তাতে হাসি ফুটেছে কৃষকের মুখে ।এছাড়া বাজারে চাহিদা থাকাবে এবং ভাল দাম পাবেন সেই আশা করে সন্তুষ্ট চাষিরা।
চাঁদপুর জেলা কৃষি কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, জেলার ৮ উপজেলার পাট চাষের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৬০০ হেক্টর। আর আবাদ হয়েছে ৫৭০ হেক্টর। মতলব দখিন, উত্তর ও ফরিদগঞ্জ উপজেলা সেচ প্রকল্পের আওতায় হওয়ায় জমিগুলো কৃষি উপযোগী থাকে বছর জুড়ে। তাই এখানে বেশি পরিমানে পাট চাষ হয়ে থাকে।
মতলব দখিন উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে,এবছর পাটের বাম্পার ফলন হয়েছে।পাট চাষিরা জমিতে কাজ করছেন। কেউ পাট তুলছেন, কেউ আঁটি বাঁধছেন। আবার অন্য শ্রমিক এসব পাট সড়কে নিয়ে স্তূপ করে রাখছেন। কেউ ডোবায় জাক দিচ্ছেন।
চাঁদপুরের মতলব উত্তরের কলাকান্দা ইউনিয়নের দশানী এলাকার এক কৃষক জানান, তিনি এ বছর ৫৫ শতাংশ জমিতে পাটের চাষ করেছেন। খরচ বাদ দিয়ে তার কমপক্ষে ৩৫ হাজার টাকার মতো লাভ হবে।
মতলব দক্ষিণের মুনিসর হাট, খাদের গাও, নারায়নপুর এলাকার কৃষক জানান, আমাদের এলাকায় পাট তোলা শুরু হয়েছে।আগামি ১ মাসের মধ্যে সব পাট তুলব এবং বিক্রি হয়ে যাবে। তবে কিছু উঁচু জমির পাট দেরিতে বিক্রি হয় এবং ওইসব কৃষকদামও ভালো পান। এখন পাইকাররা এসে পুরো জমির পাট একসঙ্গে ক্রয় করে নিচ্ছে। এবার দাম ও ভালো পাবো বলে আশা করেন তিনি।
মতলব উত্তর উপজেলা কৃষি অফিসার জানান, আবহাওয়া ভালো থাকায় মতলব সহ চাঁদপুরে এবার পাটের আবাদ খুবই ভালো হয়েছে। চাঁদপুর ফরিদগঞ্জ উপজেলা কৃষি অফিসার জানান, এবছর ফরিদগঞ্জ উপজেলায় ৩৩৫ হেক্টর জমিতে পাটের চাষ হয়েছে। আমরা নিয়মিত কৃষক ভাইদেরকে পরামর্শ ও সহযোগিতা করেছি। বাম্পার ফলনে কৃষকখুশি এবং আর্থিক ভাবে ও লাভবান হবে।
পাটের বিভিন্ন হাটে-বাজারে ও প্রচুর চাহিদা রয়েছে। কম উৎপাদন ও বাজারে দাম একটু বেশি হলেও সরবরাহ রয়েছে প্রচুর । ফলেচাহিদা মিটিয়ে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় রফতানি হচ্ছে। আগে যদিও বিদেশে প্রচুর রপ্তানী হত কিন্ত এখন আর সেই দিন নেই। তাতে অবশ্য কৃষকরা হতাশ নন।
0 Comments