একদিকে বন্যার পানি অপরদিকে তুমুল বৃষ্টিতে চূড়ান্ত রুপ নিয়ছে নদী, খাল, বিলের পানি। প্রায় সকল জলাশয়েই পানিতে ভরপুর অবস্হা। বর্ষার ঠিক এই সময়টাতেই বেড়ে যায় দেশি সাপের উপদ্রব।
pic: getty image
একদিকে প্রচন্ড গরম অপরদিকে পানির কারনে পুরে যাওয়া মাটির গর্ত বা ঝোপঝাড় গুলোর নিচে সাপগুলো এই সময়ে তেমন অবস্হান করতে পারেনা।
তাছাড়া যেহেতু জলাশয়ে নতুন পানির সাথে অনেক মাছ ও থাকে তাই মাছ শিকার করতেও সাপ বের হচ্ছে এখন।
যদিও সাপ অসহায় একটি প্রাণী কিন্তু কিছু কিছু ক্ষেত্রে মানুষেরই ভুলের কারনে কামড় বসাচ্ছে মানুষের দেহে।
গ্রামে জঙ্গলে যে সমস্ত সাপ দেখা যায় এগুলোর বেশিরভাগই বিষহীন অথবা মৃদু বিষের সাপ এগুলো কামরালে সামান্য চিকিৎসাতেই সুস্হ্য হয়ে যায় মানুষ।
গ্রামে মূলতো রাতের বেলাতেই সাপের উপদ্রব বেশি দেখা যায়। চারদিকে পানি থাকায় এরা শুকনো জায়গায় অবস্হান করে। কখনো পথের মাঝে, ময়লার স্তূপে কিংবা কোন কোন সময় ঘরেও ঢুকে পড়ে।
তাই সবার উচিত অন্তত রাতের বেলায় সাবধানে চলাফেরা করা। টর্চ বা চার্জার লাইট এ সময়ে ব্যবহার করাটা খুব জরুরী।
সবচেয়ে আতংকের বিষয় হচ্ছে প্রতি বছর ভারতের উজানের পানির সাথে কিছু বিষধর সাপ বাংলদেশে এসে পড়ে এর মধ্যে চন্দ্রবোড়া সাপ অন্যতম। এটি একটি বিষাক্ত সাপ। এই সাপের এক কামড়েই জীবন চলে যেতে পারে। এই সাপের বিষের প্রতিষেধক এখনো নেই তাই এটি এখনো ভয়ানক।
যেহেতু সাপ জীব-বৈচিত্রের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। তাই আমরা যেনো কেউ সাপ না মারি। সাপ আমাদের জাতীয় সম্পদের অংশ। অনেক সময় মানুষ ভয় পেয়ে সাপকে আক্রমন করে ফেলে। কিন্তু সাপ একটি নিরীহ প্রানী। আর প্রানীকে দয়া করা মানুষের একান্ত কর্তব্য।
তাই এই সময়ে সবার উচিত সতর্ক হয়ে চলাফেরা করা। আর সাপ দেখতে পেলে আক্রমন না করে জোরে শব্দ করা বা কোন ভাবে তাড়িয়ে দেয়া।
0 Comments