ছেলে-মেয়ে যাই হোক না কেন, সুইমিং পুলে সাঁতার কাটতে গিয়ে প্রতি পাঁচ জনের একজনই পানির ভেতর প্রসাব করে আর পেশাদার সাঁতারু যারা আছে, তাদের শতভাগই সুইমিং পুলে নিয়মিত প্রসাব করে অলসতার কারণে একটি সার্ভেতে বিষয়টি উঠে অসেছে।
এই জন্য সুইমিং পুলকে বলা হয় ব্লু টয়লেট।যদিও সুইমিং পুলের সাথেই লাগোয়া টয়লেট থাকে, তবে খুব কম লোকই পানিতেনামার আগে প্রসাব সেরে নেয়। আবার নামার পর ও অনেক বোকা আছে প্রসাব করে। সুইমিং পুলে গোসলের সময় দেখা যায়চোখ লাল হয়ে যায়... কিংবা হঠাৎ হাঁচি উঠে... আগে ধারণা করা হত, এটি হয় পানি পরিষ্কারের জন্য ব্যবহৃত ক্লোরিনের জন্য... কিন্তু আমেরিকার সিডিসির এক গবেষণায় দেখা গেছে যে, ক্লোরিন নয়, এর জন্য দায়ী হল প্রসাব। লোকজন সুইমিং পুলে নেমেপানিতেই প্রসাব করে এবং প্রসাবের নাইট্রোজেন ক্লোরিনের সাথে মিশে সায়ানোজেন ক্লোরাইড তৈরি করে।
এই সায়ানোজেন ক্লোরাইডই চোখ লাল করে তোলে... নাকে গিয়ে হাঁচি সৃষ্টি করে... এমনকি প্রসাবের পরিমাণ বেশি হলেচামড়াতেও চুলকানোর অনুভুতি তৈরি করতে পারে। তাছাড়া, শতকরা সত্তর ভাগ লোকই অপরিষ্কার বা ঘামা অবস্থাতেই সুইমিংপুলে নামে... এর ফলে সুইমিং পুলে সাঁতার কাটার পর ডায়রিয়ার হারও বৃদ্ধি পাচ্ছে
অনেক... ফ্যান্টাসি কিংডমের পানিতে নামার সময় কিংবা লোভনীয় কোন সুইমিং পুল দেখে ঝাঁপিয়ে পরার আগে সাবধান।
মতামত: তারাকী হাসান মেহেদী
0 Comments