বাংলাদেশ সহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে মহামারি করোনা ভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে প্রায় সব দেশেই চলছে লকডাউন। ঢাকায়লকডাউনে রাস্তার পাশে একটি সেচ্ছাসেবী সংগঠনের হয়ে রোজ অসহায়দের খাবার দিতে যেতেন মতলবের মফিজ। রাস্তার গরীব এবং মধ্যবিত্ত যারাই চাইতো সকলের বাসায় খাবার ডেলিভারি দিতো মফিজ এবং তার বন্ধুরা।
একমাস আগে ঢাকায় এক ফ্ল্যাটে খাবার
ত্রাণ দিতে গিয়েই এন্জেল সুরাইয়া নামের মেয়ের সঙ্গে আলাপ হয় ছেলেটির। প্রথমে হয় বন্ধুত্ব, এরপর আস্তে আস্তে ফেসবুকের প্রেম। শেষ পর্যন্ত সব কিছু গুছিয়ে সাত পাকে বাঁধা পড়লো দুজন।
ঘটনাটি ঘটেছে ঢাকার রামপুরা এলাকায়। ছেলেটির নাম মফিজ। পেশায় ছাএ। আর মেয়েটির বাবা মারা গেছেন বছর খানেকআগে তাই ভাইয়ের বাসায় থাকতো। ভাই-ভাবি তাকে প্রায়ই মারধর করতো এবং ঘরের সব কাজ করাত। এক রাতে বাড়ি থেকেইবের করে দিতে চায় তাকে। মা প্যারালাইস কিছু বলতে পারে না।কিন্তু লকডাউনে চরম বিপদে পড়ে যায়।
আর এদিকে লকডাউনে মফিজ রোজ খাবার দিতে যেত দুস্থদের। দেখে ভালো লেগে যায়। পরের দিকে সে নিজে হাতে রেঁধে মা-মেয়ের জন্য খাবার নিয়ে যেত ব্যাস! এভাবেই শুরু। একদিন বিয়ের প্রস্তাব দিয়েই বসল মফিজ। কিন্তু মেয়েটির ভাই বাধা দেয় পরে তারা পালিয়ে বিয়ে করে।তার বন্ধু কুদ্দুস যিনি নিজেও খাবার দিতে যেতেন, তিনিই রাজি করালেন বন্ধুর বাবাকে এই বিয়ের জন্য মত দিতে।
গত দু’মাসের এই লকডাউন যে মানুষকে শুধু তিক্ততার স্বাদই দেয়নি, বরং কারও কারও ভাঙা সম্পর্কও জোড়া লাগিয়েছে, কিংবানতুন করে সম্পর্কও গড়ে তুলেছে, মফিজ এবং সুরাইয়া বোধহয় তার জ্বলন্ত উদাহরণ।
0 Comments