এক মাসের বেশি সময় ধরে চলা বন্যায় কঠিন সমস্যার আবর্তে মানুষ। ঈদের ছুটির মধ্যে বন্যার পানি আরও বেড়েছে। আজঢাকা টু চাঁদপুর মেইন লন্চ ঘাট ও তার আশেপাশে সকল রাস্তা পানিতে তলিয়ে গছে। এতে বিপদে পরেছে ওই রুটে আসা সকললন্চ যাএী। এমনি তেই বন্যায় মোট আক্রান্ত জেলার সংখ্যা ৩৩টিতে দাঁড়িয়েছে। নতুন করে বন্যাকবলিত মানুষের সংখ্যা এখন৫৫ লাখ হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় দৈনিক দুর্যোগ প্রতিবেদনে এ তথ্য দিয়েছে।
এবার পর তিন দফায় বন্যা আঘাত হেনেছে।
কিন্তু রাজনৈতিক দল এবং এনজিওগুলোর মাঠে এখনও তেমন ত্রাণ তৎপরতা নেই বলে বিভিন্ন এলাকা থেকে ক্ষতিগ্রস্তরাজানিয়েছেন।
বন্যা সতর্কীকরণ কেন্দ্রের আরিফুজ্জামান ভূঁইয়া বলেছেন, আগাষ্ট মাসের প্রথম সপ্তাহের পর বন্যার পানি কমতে শুরু করতেপারে।
"১৯৯৮ সালে বন্যা দুই মাসের বেশি সময় স্থায়ী ছিল। এবার এক মাসের বেশি সময় ধরে বন্যা চলছে। এই বন্যা স্থায়িত্বের দিকথেকে ৯৮ এর পর দ্বিতীয়।" সরকারি হিসাবে ৩১টি এই বন্যায় এপর্যন্ত ৪১ জনের মৃত্যু হয়েছে।
তবে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো: মহসিন বলেছেন, করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যে বন্যা পরিস্থিতি সামলাদেয়ার চ্যালেঞ্জ বিবেচনা করেই তারা ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা দিচ্ছেন।
"অন্য বছরের থেকে এবার যে পার্থক্যটা, তা হচ্ছে, করোনাভাইরাস এবং তার মধ্যেই বন্যা। আমরা পুরোপুরি এটা বিবেচনায়এনেই বন্যা ব্যবস্থাপনা করেছি।"
"যেমন, আশ্রয়কেন্দ্রের সংখ্যা আমরা অনেক বাড়িয়েছি। এবার এপর্যন্ত ১৬০৩টি করা হয়েছে। যা আগের বছরে অনেক কমছিল। কারণ যাতে সামাজিক দূরত্ব রক্ষা করা যায়।"
তিনি আরও বলেছেন, "অন্য বছরের তুলনায় ত্রাণ বরাদ্দ অনেক বেশি দিয়েছি। আজকেও আমি বন্যা কবলিত জেলাগুলোরত্রাণ কর্মকর্তাদের সাথে সভা করেছি। ত্রাণ বিতরণের মনিটরিং পদ্ধতিটাও এফেক্টিভ করা হয়েছে।"
0 Comments