মতলব উওরে মেঘনা নদীতে বালু উত্তোলনে পানি দূষণসহ নদীগর্ভের গঠনপ্রক্রিয়া বদলে যাচ্ছে এবং নদী ভাঙছে। পুরোহাইড্রোলজিক্যাল কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। বালু উত্তোলনের কাছাকাছি মাটির ক্ষয় যেমন ঘটছে, তেমনি মাটির গুণা গুণও নষ্টহচ্ছে। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা যায়, ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নেমে যাওয়ায় মাটির উর্বরতা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে । এ ছাড়া নলকূপে পানিপাওয়াও কষ্টকর হচ্ছে।
মতলব উওরের মেঘনা নদীতে অবৈধ বালু উত্তোলনে স্থানীয় আশে পাশের জনপ্রতিনিধিদের সমর্থন রয়েছে বলে বহু অভিযোগপাওয়া যায়। অনেক জায়গায় এর সত্যতাও রয়েছে। অবৈধভাবে উত্তোলিত বালু আবার জলাশয় অপদখলের অন্যতম পদ্ধতি।এসব বালু দিয়েই দখলের আগে প্রভাবশালী ব্যক্তিরা জলাশয় ভরাট করে থাকেন।
মতলব উত্তরে মেঘনা নদী হতে দীর্ঘদিন যাবৎ লক্ষ করছি মতলবের বেড়িবাঁধ সংলগ্ন স্থানে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করা হচ্ছেএ বিষয়ে স্হায়ীয় জনগন সচেতন হলেও কোন এক অদৃশ্য কারনে প্রশাসন ও স্হানীয় জনপ্রতিনিধি নিরব!!!অবৈধভাবে বালুউত্তোলনের প্রভাবে ১৮ ই সেপ্টেম্বর ফরাজিকান্দি ইউনিয়নের বেড়িবাঁধে গভীর ফাটল দেখা দেয় বিষয়টি স্হানীয় জনগনকেআতংকিত করে তুলে রাতভর সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এবার হয়তো রক্ষা পাওয়া গেছে কিন্তু এই ফাটলের মূল কারনঅবৈধভাবে বালু উত্তোলন! এটা বন্ধ করতে মতলবের জনগন ঐক্যবদ্ধ তাদের সপথ মতলবের অস্তিত্ব রক্ষায় কাউকে ছাড়া দেয়াহবেন।
সুতরাং বালু উত্তোলনে জড়িত বালু খেকো দের প্রতিহত করতে প্রয়োজনে জনতা রাস্তায় নামতে পিছপা হবেনা বলে হুশিয়ারিদিয়েছেন। এ বিষয়ে বাংলাদেশের আইন কি বলে একটু দেখে নেই।
বাংলাদেশের ক্ষেত্রে ২০১০ সালের বালুমহাল আইনে বলা আছে, বিপণনের উদ্দেশ্যে কোনো উন্মুক্ত স্থান, চা-বাগানের ছড়া বানদীর তলদেশ থেকে বালু বা মাটি উত্তোলন করা যাবে না। এ ছাড়া সেতু, কালভার্ট, ড্যাম, ব্যারাজ, বাঁধ, সড়ক, মহাসড়ক, বন, রেললাইন ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ সরকারি-বেসরকারি স্থাপনা অথবা আবাসিক এলাকা থেকে বালু ও মাটি উত্তোলন নিষিদ্ধ।কিন্তু বাংলাদেশে বাড়ি, রাস্তা, ব্রিজসহ যেকোনো ধরনের কংক্রিট নির্মাণসংক্রান্ত অবকাঠামো সম্পূর্ণ বৈধ বালু দিয়ে করা হয়েছেবলে কেউ দাবি করতে পারবে না।
সুতরাং জনগণের পাশে থেকে সকলকে মতলবের অস্তিত্ব তথা বাধ রক্ষায় প্রয়োজনীয় ব্যাবস্হা নেওয়ার জন্য মতলবেরজনগনকে কাধেঁ কাধঁ মিলিয়ে ঐক্যবদ্ধ ভাবে কাজ করতে হবে।
0 Comments