সাফল্যময় জীবনের সিঁড়ি বেয়েছেন ড.মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী। চাদপুরের ছেলে ড.জাবেদ পাটওয়ারীর নতুন মিশন, বাংলাদেশ-সৌদি সম্পর্ককে! আরও সুদৃর করতে চান। ঘনিষ্ঠ সহযোগিতা ও বোঝাপড়ার ভিত্তিতে আগামী দিনের মধ্যে দু’টি ভ্রাতৃত্বপূর্ণ দেশের মধ্যকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরওজোরদার হবে বলেও পুনরায় জোর দেন এ রাষ্ট্রদূত।
তিনি পুলিশ প্রধান হিসেবে ২ বছর ৩ মাস ১৫ দিনের টাটকা স্মৃতি জ্বলজ্বল। ওইসুখ স্মৃতিটিই তাঁর গোটা জীবনের জন্যই অনুপ্রেরণার।দায়িত্ব পালনকালের এ সময়টিতে দেশের গন্ডি পেরিয়ে বিশ্বের দরবারে পুলিশকে অনন্য এক উচ্চতায় মেলে ধরেছিলেন।
তার নেতৃত্বে মুন্সীয়ানার স্বাক্ষর রাখায় ‘সন্তুষ্ট’ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজের ভান্ডারের অভিজ্ঞতায় ঋদ্ধ লড়াকু এই তুর্কিকেই নতুনঅ্যাসাইমেন্টে পাঠিয়েছেন মধ্যপ্রাচ্যের ক্ষমতাধর দেশ সৌদি আরবে।
সেখানে বাংলাদেশের নতুন রাষ্ট্রদূত হিসেবে। স্বভাবতই নতুন কর্মস্থলে নতুন অভিজ্ঞতা নিয়েই পূর্ণোদ্যমে কাজও শুরু করেদিয়েছেন।
চলতি বছরের ২২ আগস্ট দায়িত্ব নিয়েই ‘ছক’ কষে কাজও শুরু করে দিয়েছেন ড.জাবেদ। বাংলাদেশ ও সৌদি আরবের মধ্যকারবিদ্যমান ঐতিহাসিক সম্পর্ককে আরও সুদৃঢ় করতেই স্থির করেছেন নিজের নতুন লক্ষ্য।
জনশক্তি, শিক্ষা ও কৃষির পাশাপাশি বাংলাদেশে সৌদি আরবের বাণিজ্য-বিনিয়োগ বৃদ্ধি এবং শক্তিশালী অর্থনৈতিক সর্ম্পকস্থাপনের মাধ্যমেই সাফল্যে রাঙানো নতুন অধ্যায়ের সূত্রপাত করতেই নতুন রাষ্ট্রদূত ড.জাবেদ পাটোয়ারী সম্ভবত নিজেকে ব্যস্তওরাখতে চান ‘রাউন্ড দ্যা ক্লক’।
এরই মধ্যে দিয়ে নিজের ওপর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অগাধ আস্থার মর্যাদাও রক্ষা করতে চান পুলিশ প্রধান থেকে একূটনীতিক।
তিনি নিজেও মনে করেন, ‘বাংলাদেশিদের হৃদয়ে সৌদি আরবের বিশেষ জায়গা রয়েছে। আর এ বিষয়টি কাজে লাগিয়েইবাংলাদেশ ও সৌদি আরবের মধ্যকার সম্পর্ক উপনীত হবে নতুন উচ্চতায়।’
সম্প্রতি সৌদি আরবের একটি প্রভাবশালী গণমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে নতুন রাষ্ট্রদূত ড.জাবেদ পাটোয়ারী বলেন, ‘দু’টিপবিত্র মসজিদের কাস্টোডিয়ান কিং সালমান এবং ক্রাউন প্রিন্স মুহাম্মদ বিন সালমানের নেতৃত্বে সৌদি সরকারের কিংডম ভিশন২০৩০ বাস্তবায়নে গুরুত্বপূর্ণ সহযাত্রী হতে হতে চায় বাংলাদেশ।
সৌদি বিনিয়োগের জন্য বাংলাদেশকে ‘অনুকূল’ গন্তব্য হিসেবেই কেবল প্রতিষ্ঠা করার স্বপ্ন বুনেননি।
পাশাপাশি সৌদি আরবের রূপকল্প ২০৩০ এবং বাংলাদেশের রূপকল্প ২০৪১ বাস্তবায়নে দক্ষ ও আধা দক্ষ কর্মীদের নির্ভরযোগ্যএকটি ব্র্যান্ড হিসাবে বাংলাদেশকে প্রতিষ্ঠা করাই নিজের অন্যতম প্রধান চ্যালেঞ্জ বলেও মন্তব্য করেন ড.জাবেদ।
দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও জোরদার করার ব্রত নিয়ে রাষ্ট্রদূত ড.পাটোয়ারী বলেন, ‘দুই বন্ধুত্বপূর্ণ দেশ পারস্পরিক স্বার্থের বিষয়দ্বিপক্ষীয়, আঞ্চলিক ও বিশ্বব্যাপী মুসলিম ভ্রাতৃত্ব ও ইসলামী মূল্যবোধের ভিত্তিতে আরও নিবিড়ভাবে কাজ চালিয়ে যাবে।
0 Comments