চাঁদপুর- শরীয়তপুর মধ্যবর্তী স্থান মেঘনা নদীর দৈর্ঘ্য মাত্র ১০ কিলোমিটার। এই নৌ-রুটে যাএী এবং পন্য পরিবহনের জন্যপ্রয়োজন একটি সেতু বা সুড়ঙ্গপথ (টানেল) যা বদলে দিতে পারে দেশের অর্থনীত চাকা এমনই একটি সেতু বা টানেল নির্মাণেরকথা ভাবছে সরকার। যে পথ দিয়ে রেল চলাচল করবে। এমনই এক স্বপ্ন স্বপ্ন দেখছেন চাঁদপুর-শরীয়তপুর দুই পাড়ের জনপ্রিয় দুইসাংসদ।
সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ এবং সেতু মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়, মেঘনা নদীর এক প্রান্তেশরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলার আলুবাজার ফেরিঘাট আর অন্য প্রান্তে চাঁদপুরের হরিণা ফেরিঘাট। দুই ফেরিঘাটের মধ্যেদূরত্ব নদী ও চর মিলিয়ে ১০ কিলোমিটার। এখানে সেতু নির্মাণের সমীক্ষার জন্য দরপত্রও আহ্বান করেছে সেতু বিভাগ। এ দুইঘাটের দুই প্রান্তেই আঞ্চলিক মহাসড়ক রয়েছে। তার ওপর আবার পদ্মা নদীর শরীয়তপুরের জাজিরা প্রান্তের নাওডোবা থেকেশরীয়তপুর সদর পর্যন্ত চার লেন সড়ক নির্মাণের ডিপিপি প্রস্তুত করেছে সড়ক ও জনপথ অধিদফতর।
সূত্রটি থেকে আরো জানা যায়, দেশের সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তন আনতে আওয়ামী লীগ সরকারের ১৯৯৬থেকে ২০০১ মেয়াদকালে বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়া হয়। এরই অংশ হিসেবে ২০০১ সালে জাপানি অর্থ সহায়ক সংস্থা (জাইকা) দেশেযে পাঁচটি দীর্ঘ সেতু নির্মাণের পরিকল্পনা দেয় তার মধ্যে শরীয়তপুরের আলুবাজার ফেরিঘাট থেকে চাঁদপুরের হরিণা ফেরিঘাটপর্যন্ত মেঘনা নদীর ওপর সেতু নির্মাণের প্রস্তাব ছিল।
আরও যে চারটি সেতু নির্মাণের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেওয়া হয়, তারই একটি পদ্মা সেতু যা মুন্সীগঞ্জের মাওয়া থেকেশরীয়তপুরের জাজিরা পর্যন্ত নির্মাণের কাজ এখন চলছে। সড়ক খাতের সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আলুবাজার থেকে হরিণাফেরিঘাট পর্যন্ত নদী ও চর মিলিয়ে ১০ কিলোমিটার সেতু বা টানেল নির্মাণ করা হলে দেশের দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল এবংচট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের মধ্যে যোগাযোগ সহজ হয়ে যাবে।
চাঁদপুর শহর রক্ষা বাঁধ এর স্থান পরিদর্শন কালে সাংবাদিকদের কাছে এ কথা জানিয়েছেন বাংলাদেশ পানিসম্পদ মন্ত্রনালয়েরউপ-মন্ত্রী এনামুল হক শামীম এমপি। তিনি বলেন, আমার বড় বোন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এমপির সাথে আমার কথাহয়েছে। চাঁদপুর-শরীয়তপুর যোগাযোগ ব্যবস্থার জন্য আমরা এমন একটি কাজ করে যেতে চাই যার জন্য মানুষ আমাদেরকে মনেরাখবে।
উপ-মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নতি হয়েছে। যার ফলে আমরা নিজস্বঅর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ করছি। কর্ণফুলী নদীতে টানেল নির্মাণ করা হয়েছে। এবারে আমরা স্বপ্ন দেখছি মেঘনায় নদীতেচাঁদপুর- শরিয়তপুর সেতু বা টানেল করব। যা দিয়ে রেল চলাচল করবে। এ বিষয়ে আমাদের সমীক্ষা কাজ চলছে। আমার বড়বোন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এমপির সাথে আমার কথা হয়েছে। আমরা দুজন মিলে এই স্বপ্নটি বাস্তবায়নে কাজ করব। আমরাআশা করছি এই সরকারের শেষদিকে হলেও মেঘনা সেতু অথবা টানেলের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করতে পারবো।
0 Comments